রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
ভূমিকা
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যাত্রা শুরু করেছে। এ যাত্রাপথে আমাদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র । দ্রুত অগ্রসরমান এ প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা পারমাণবিক শক্তির নিরাপদ ব্যবহার যুগে প্রবেশ করেছি। বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার চ্যালেঞ্জে এটি বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকারমূলক একটি বৃহৎ প্রকল্প।
বিদ্যুতের গুরুত্ব ও চাহিদা
চলমান জীবনে বিদ্যুতের পুরুত্ব ও চাহিদা অপরিসীম। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে জাতীয় জীবনের সর্বত্র বিদ্যুৎ এখন অপরিহার্য সামগ্রী। আমাদের দেশে প্রতিবছরই জনসংখ্যা বাড়ছে। নতুন নতুন কলকারখানা, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হচ্ছে। সরকার নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করছে। এ সবকিছুতেই বিদ্যুতের প্রয়োজন। কিন্তু ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও উন্নয়নের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সহায়তা প্রদান সম্ভব হচ্ছে না। যদিও বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২০০৯ সালের ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াট থেকে ২০১৮ সালে ২০ হাজার মেগাওয়াটে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া টেকসই বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে কয়লাভিত্তিক সুপারক্রিটিক্যাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকাজ চলছে। সঞ্চালন লাইনবিহীন প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু তারপরও অতিরিক্ত অনেক বিদ্যুৎ প্রয়োজন, যা কেবল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমেই অনেকটা মেটানো সম্ভব। তাই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
পরমাণু বিদ্যুৎ
পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পরমাণু বিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপন করতে হয়। এখানে প্রক্রিয়াজাত ইউরেনিয়াম অথবা থোরিয়ামের নিউক্লিয়াস ভেঙে দুটি ক্ষুদ্রতম অংশে বিভক্ত হয়ে শক্তি সৃষ্টি করে এবং দু-তিনটি নিউট্রন নির্গত করে। ফিউশন পদ্ধতির প্রক্রিয়ায় চেইন রিঅ্যাকশন সৃষ্টির মাধ্যমে এই শক্তি এক বিপুল তাপের সৃষ্টি করে যাকে পরবর্তী পর্যায়ে বিদ্যুতে পরিণত করা যায়। একেই বলে পরমাণু বিদ্যুৎ। এই পদ্ধতি অত্যন্ত কঠিন, জটিল ও বিপজ্জনক হলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের জন্য এ প্রক্রিয়ায় পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। বাংলাদেশও পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের লক্ষ্যেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কার্যক্রম শুরু করেছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অবস্থান : বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা থেকে দুইশ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার অন্তর্গত পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর গ্রামে নির্মিত হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ।
প্রকল্পের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ১৯৬১ সালে। তৎকালীন সরকার বেশকিছু পর্যালোচনা ও সমীক্ষার ভিত্তিতে ১৯৬৩ সালে পদ্মা নদীতীরবর্তী রূপপুরকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্থান নির্বাচন করে। এ প্রকল্পের জন্য ২৬০ একর এবং আবাসিক এলাকার জন্য ৩২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ১৯৬৪ সালে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য সব যন্ত্রপাতি বাংলাদেশের উদ্দেশে জাহাজে করে পাঠানো হয়। কিন্তু সেই জাহাজ পাকিস্তান (তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান) তাদের নিজেদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে চট্টগ্রাম বন্দরে না এনে করাচিতে নিয়ে যায়। ১৯৬৯-৭০ সালে তদানীন্তন পাকিস্তান সরকার এ প্রকল্প বাতিল ঘোষণা করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। এ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এরপর মেসার্স সোফাটম এবং জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডের দুটি কোম্পানির পরিচালিত দুবার ফিজিবিলিটি স্টাডি সত্ত্বেও নানা টানাপড়েনে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। ১৯৯৭-২০০০ সালে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। মানবসম্পদ উন্নয়নসহ কিছু প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয় এ সময়।
উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম
২০০৯ সালে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রাথমিক কার্যাবলি ও পারমাণবিক অবকাঠামো উন্নয়নের কার্যক্রম শুরু হয়। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন ও রাশিয়া ফেডারেশনের স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশনের (রোসাটোম) মধ্যে ‘পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার’ বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে রাশান ফেডারেশন সরকারের মধ্যে ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। নভেম্বরে জাতীয় সংসদে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য সিদ্ধান্ত প্রস্তাব গৃহীত হয়। ২০১৬ সালে এ প্রকল্পের মূল পর্যায়ের কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য বাংলাদেশ ও রাশিয়া সরকারের মধ্যে ক্রেডিট চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। ২০১৭ সালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পেন্ট ফুয়েল রাশিয়ায় ফিরিয়ে নিতে উভয় সরকারের মধ্যে একটি সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক ইউকিয়া আমানো ৩ জুলাই ২০১৭ সালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ এলাকা পরিদর্শন করে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। ৩০ নভেম্বর ২০১৭ সালে এ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১নং ইউনিটের কংক্রিট ঢালাইয়ের কাজ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব পরমাণু ক্লাবের (নিউক্লিয়ার নেশন) ৩২তম সদস্য হিসেবে যুক্ত হয়।
পারমাণবিক চুল্লি
বাংলাদেশের সর্বোত্তম নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখেই রাশিয়া তাদের উদ্ভাবিত সর্বাধুনিক ৩+ প্রজন্মের (থ্রি প্লাস জেনারেশন) ভিভিইআর ১২০০ (VVER-1200) প্রযুক্তির চুল্লি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সংযোজন করছে। ভূমিকম্পের রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প ধারণক্ষমতা রয়েছে এই সর্বশেষ আধুনিক মডেলটির। তাছাড়া এ মডেলটি যেকোনো ধরনের বিমান হামলা থেকেও রক্ষা পেতে সক্ষম। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। তাই বাংলাদেশের জন্য কঠিন এই কাজটির দায়িত্ব নিয়েছে রাশিয়া।
কোর ক্যাচার
রাশিয়ার তৈরি VVER-1200 প্রযুক্তির পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তার সর্বাধুনিক প্রযুক্তি কোর ক্যাচার। কোনো কারণে চুল্লিতে সর্বোচ্চ মাত্রার দুর্ঘটনা ঘটলে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে এই কোর ক্যাচার প্রযুক্তি। অর্থাৎ চুল্লির যন্ত্রপাতি গলে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সবকিছু এই কোর ক্যাচারে চলে যাবে। এক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয়তা বাইরে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকবে না। রূপপুরে প্রথম ইউনিটের কোর ক্যাচার বসানো হয়েছে ২০১৮ সালের শেষদিকে। দ্বিতীয় ইউনিটের কোর ক্যাচার বসানো হয়েছে ফেব্রুয়ারি ২০১৯-এ। কোর ক্যাচারের প্রতিটির ওজন প্রায় সাড়ে চারশ টন। দ্বিতীয় ইউনিটের রিয়েক্টর ভবনের প্রথম কংক্রিট ঢালাইয়ের কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ জুলাই, ২০১৮। রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী ইউরি বোরিচভ এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ও উৎপাদন ক্ষমতা
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ ব্যয় সরকারি হিসাবে এখন ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এর ৯০ শতাংশ অর্থ ঋণে সরবরাহ করছে রাশিয়া। প্রতিটি ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট স্থাপন করা হচ্ছে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। দুই ইউনিটের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ২৪০০ মেগাওয়াট। আগামী ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিট এবং ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিট চালু হবে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে একনাগাড়ে ৬০ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। এর পর আরও অতিরিক্ত ২০ বছর উৎপাদন কাজ চলবে। এ প্রকল্পে ভবিষ্যতে আরও দুটি ইউনিট করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে বর্তমানে ২২০০ কর্মী কাজ করছেন। এর মধ্যে রাশিয়ার বিশেষজ্ঞ রয়েছেন ৪৫০ জন। প্রকল্পটির মূল কাজ বাস্তবায়নে যুক্ত হবেন ১২ হাজার ৫০০ জন কর্মী। এর মধ্যে রাশিয়ার বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন পর্যায়ে যুক্ত হবেন ২ হাজার ৫০০ জন।
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণ
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে রাশিয়ায় ও ভারতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিমাসে কয়েকটি দল কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে প্রশিক্ষণের জন্য রাশিয়ায় যাচ্ছে। আরও দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য বাংলাদেশ থেকে বাছাই করে তিন বছর মেয়াদি মাস্টার্স প্রোগ্রাম এবং পাঁচ বছর মেয়াদি স্পেশালিস্ট প্রোগ্রামে রাশিয়ায় ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা তাদের পড়াশুনা শেষ করে দেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে তাদের অর্জিত জ্ঞান ও মেধার সবটুকু কাজে লাগাবেন। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হওয়ার পরের কয়েক বছর এ প্রকল্পটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাশিয়া সাহায্য-সহযোগিতা করবে।
বিশ্বে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
বর্তমানে বিশ্বের ৩১টি দেশে ৪৫০টি পারমাণবিক বিদ্যুতের ইউনিট চালু রয়েছে। এগুলোর মোট উৎপাদন ক্ষমতা ৩ লাখ ৯২ হাজার মেগাওয়াট (৩৯২ গিগাওয়াট)। রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত ও পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। বাংলাদেশে নির্মাণাধীন এই দুটি ইউনিট ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৬০টি ইউনিট নির্মাণাধীন রয়েছে। এগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা হবে মোট ৬০,০০০ মেগাওয়াট।
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অসুবিধা
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিপুল সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও রয়েছে। ত্রুটিজনিত কারণে অগ্নিকাণ্ড, বিস্ফোরণ, বিকিরণ ও দুর্ঘটনার কারণে মহাবিপর্যয় ঘটতে পারে। এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে সে স্থানে জন্ম নেওয়া সব শিশুই শারীরিক প্রতিবন্ধী হতে পারে। জমির উর্বরতা চিরদিনের জন্য বিনষ্ট হয়। পারমাণবিক চুল্লিতে রাসায়নিক বিক্রিয়ার পর যে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য সৃষ্ট হয় তা জীবজগৎ ও পরিবেশের জন্য খুবই বিপজ্জনক। কোনো ধরনের সমস্যা না হলেও এ বিশাল পারমাণবিক বর্জ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা না হলে তা থেকে তেজষ্ক্রিয়তা ছড়ানোর বিপদ কিছুটা থেকেই যাবে। কাজেই সব দিকের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখাটাই জরুরি।
উপসংহার
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নপূরণের জন্য অন্যতম শর্ত হলো, সব ক্ষেত্রে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করা। সেই লক্ষ্যেই বর্তমান সরকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে। যাতে জনজীবনে স্বাচ্ছন্দ্য এনে উন্নয়নে প্রযুক্তির ব্যাপক বিকাশ ত্বরান্বিত করা যায়। বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে, উন্নয়নের নানা ক্ষেত্রে চমক সৃষ্টি করছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ অর্জন করতে চলেছে অগ্রযাত্রার এক নতুন মাইলফলক।
অন্যান্য রচনা:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল রচনা/কর্ণফুলী টানেল রচনা
বিশ্বায়ন রচনা বা গ্লোবালাইজেশন রচনা (১৩০০ শব্দ)
ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা (১০০০ শব্দ) | SSC | HSC
1 comment
[…] রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রচন… […]
Comments are closed.