বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ বাংলাদেশের প্রথম ভূস্থির যোগাযোগ ও সম্প্রচার উপগ্রহ। ২০১৮ সালের ১১ মে (বাংলাদেশে সময় ১২ মে) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে এই স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ৫৭ তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশের তালিকায় যোগ হয়। নিচে এর রচনাটি দেয়া হলো-
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১
ভূমিকা
একবিংশ শতাব্দীর এই বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সমগ্র বিশ্ব আজ উন্নততর আধুনিক সমাজ বিনির্মাণের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ পরিচালনায় উন্নয়নের মহাসড়কে আজ বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে বিজয়ের শুরু তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর সমুদ্র জয়ের পর তাঁরই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা, নতুন প্রজন্মের প্রেরণার বাতিঘর সজীব ওয়াজেদ জয়ের সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় মহাকাশ জয়ের যাত্রায় নেমেছে আজ বাংলাদেশ। আমাদের আকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এখন অতন্দ্র প্রহরীর মতো নজর রাখতে সক্ষম। নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, কিন্তু তারা মহাকাশ জয়ের এক-একজন যোগ্য যোদ্ধা হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশকে নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বিশ্বের দরবারে।
স্যাটেলাইট কী
স্যাটেলাইট হলো একধরনের যান্ত্রিক উপগ্রহ যা প্রাকৃতিক গ্রহ-উপগ্রহের কক্ষপথ বরাবর পরিভ্রমণ করে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে পৃথিবীতে পাঠায়। বঙ্গবন্ধু স্যটেলাইট-১ সহ অসংখ্য স্যাটেলাইট হলো মানুষের তৈরি করা বিজ্ঞানের অকল্পনীয় দান— কৃত্রিম উপগ্রহ। এ রকম হাজারো উপগ্রহ মহাকাশে ঘুরে ঘুরে প্রয়োজনীয় তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করে পাঠায়। কিছু স্যাটেলাইট বা উপগ্রহ রয়েছে যেগুলো মূলত যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। অসংখ্য স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হয় জিপিএস সিস্টেমের কাজে।
স্যাটেলাইটের গঠন ও প্রকারভেদ
স্যাটেলাইট বিভিন্ন আকৃতির হতে পারে। প্রতিটি স্যাটেলাইটের দুটি আলাদা অংশ থাকে- ১. অ্যান্টেনা এবং ২. শক্তির উৎস। অ্যান্টেনা তথ্য গ্রহণ ও সংগ্রহের কাজ করে থাকে। সোলার প্যানেল অথবা ব্যাটারি উভয়েই শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। নাসা’র স্যাটেলাইটে ক্যামেরা এবং কিছু সেন্সর লাগানো থাকে। কক্ষপথের ভিত্তিতে স্যাটেলাইট সিস্টেমকে কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন LEO (Low Earth Orbit) পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ১৬০-২০০০ কি.মি. উপরে অবস্থিত। সাধারণত পৃথিবীকে পর্যবেক্ষণকারী স্যাটেলাইটগুলো এ কক্ষপথে থাকে। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন এই কক্ষপথে অবস্থিত। MEO (Medium Earth Orbit) পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ২০০০ কি.মি. উপরে অবস্থিত। সাধারণত জিপিএস স্যাটেলাইটগুলো এ কক্ষপথে থাকে। এর গতি মন্থর বলে এগুলো পাঠাতে অনেক শক্তি প্রয়োজন হয়। GEO (Geostationary Earth Orbit) পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ৩৬০০ কি.মি. উপরে অবস্থিত। এই কক্ষপথে অ্যান্টেনার অবস্থান নির্দিষ্ট থাকে। এগুলো সাধারণত রেডিও এবং টিভির ট্রান্সমিশনের কাজে ব্যবহার করা হয়।
স্যাটেলাইট আবিষ্কার এবং বিভিন্ন দেশের স্যাটেলাইট
স্যাটেলাইট হলো বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় মহাকাশে উৎক্ষেপিত একধরনের উপগ্রহ। বিশ্বে সর্বপ্রথম সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৫৭-এর অক্টোবরে স্পুটনিক-১ নামে স্যাটেলাইট আবিষ্কার এবং উৎক্ষেপণ করে। পরের মাসে তারাই লাইকা নামক একটি কুকুরসহ স্পুটনিক-২ মহাকাশে পাঠায়। ১৯৫৮-এর জানুয়ারিতে আমেরিকা প্রথমবারের মতো এক্সপ্লোরার-১ উৎক্ষেপণ করে। তারপর একে একে ফ্রান্স (১৯৬৫), জাপান (১৯৭০), চীন (১৯৭০), ব্রিটেন (১৯৭১), ভারত (১৯৮০), সহ ৫৬টি দেশ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে নিজস্ব স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষম দেশের কাতারে শামিল হলো বাংলাদেশ।
স্যাটেলাইট কীভাবে কাজ করে
কৃত্রিম উপগ্রহ পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে। তার গতির সেন্টিফিউগাদ্বা বহির্মুখীন শক্তি তাকে বাইরের দিকে গতি প্রদান করে, আর পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি একে পৃথিবীর আওতার বাইরে যেতে দেয় না। উভয় শক্তি এই উপগ্রহকে ভারসাম্য এনে দেয়। যেহেতু মহাকাশে বাতাসের অস্তিত্ব নেই, তাই পরিভ্রমণে কোনো বাধা নেই। ফলে যেকোনো রেডিও সিগন্যালকে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌছানো যায়। স্যাটেলাইট এই কাজ ৩টি স্টেপে করে থাকে। প্রথম স্টেপ আপলিংক— এটি পৃথিবীতে অবস্থিত সার্ভিস প্রভাইডারের ডিশ অ্যান্টেনা থেকে ই-সিগন্যাল স্যাটেলাইটের দিকে ছুড়ে দেয়। দ্বিতীয় স্টেপে এ সিগন্যালকে স্যাটেলাইট রিসিভ করে এবং রেডিও রিসিভার, এমপ্লিফায়ার ও ট্রান্সমিটার ব্যবহারের মাধ্যমে প্রসেসিং করে । ফলে সিগন্যালটির শক্তি বৃদ্ধি ও এর ফ্রিকোয়েন্সি পরিবর্তন করে দেওয়া হয়। যাতে রিসিভ হওয়া সিগন্যাল ও পাঠানো সিগন্যালের মধ্যে জট পাকিয়ে না যায়। তৃতীয় স্টেপে থাকে ডাউনলিংকের কাজ, পৃথিবীতে অবস্থিত আরেকটি স্যাটেলাইট ডিশ অ্যান্টেনা, যা বাড়ির ছাদে আকাশমুখী হয়ে থাকে। একটি স্যাটেলাইটে অনেক রেডিও রিসিভার, এমপ্লিফায়ার এবং ট্রান্সমিটার থাকে যাতে একসঙ্গে অনেক সার্ভিস প্রভাইডার থেকে সিগন্যাল রিসিভ ও সিগন্যাল ফেরত পাঠাতে পারে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি (২০১৮-এর ১১ মে, বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা) ঢাকায় এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সুইচ টিপে উদ্বোধনের পর পরই আমেরিকার কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ প্যাড থেকে মহাকাশের উদ্দেশে যাত্রা করে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান বলেন, ১৬০০ মেগাহার্টজ ক্ষমতাসম্পন্ন এই স্যাটেলাইটে রয়েছে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার। যার মধ্যে ২০টি আমরা আমাদের দেশের প্রয়োজনে ব্যবহার করব আর বাকিগুলো ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সক্ষম হবে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর গ্রাউন্ড স্টেশন তৈরি করা হয়েছে গাজীপুরের জয়দেবপুরে ও রাঙামাটির বেতবুনিয়ায়। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ তার মহাকাশ জয়ের শুভযাত্রা শুরু করল ।
পরিকল্পনার প্রথম অধ্যায়
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০০৮ সালে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সরকারি সংস্থা বিটিআরসি একটি কমিটি গঠন করে। ২০০৯ সালে জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালায় বিষয়টি যুক্ত হয় এবং বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের কাছে আবেদন জানায়। ২০১২-এর মার্চে এ প্রকল্পের মূল পরামর্শক হিসেবে আমেরিকার ‘স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনাল কে নিয়োগ দেয়। স্যাটেলাইট সিস্টেম ক্রয়, নকশা করা, এটি তৈরি ইত্যাদির জন্য ফ্রান্সের থ্যালাস অ্যালেনিয়া স্পেস’ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে বিটিআরসি। ২০১৫ সালে বিটিআরসি রাশিয়ার ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে অরবিটাল স্লট বা কক্ষপথ ভাড়ার চুক্তি করে। ২০১৭ সালে স্যাটেলাইট পরিচালনার সার্বিক ব্যবস্থাপনার জন্য ‘বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড’ নামে একটি সংস্থা গঠন করা হয়।
নামকরণ ও নির্মাণশৈলীতে দেশের ছোঁয়া
ফ্রান্সের থ্যালাস অ্যালেনিয়া স্পেস কর্তৃক নকশা করা ও নির্মিত বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইটটি ১১৯.১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমার ভূ-স্থির স্লটে স্থাপিত হয়েছে। এই স্যাটেলাইটের নামকরণ করা হয়েছে বাংলাদেশের স্থপতি, মহাকালের মহানায়ক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে। এই স্যাটেলাইটের বাইরের অংশে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকার উপর ইংরেজিতে লেখা ‘বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু’। বাংলাদেশ সরকারের একটি মনোগ্রামও রয়েছে সেখানে
স্যাটেলাইট যুগে বাংলাদেশ
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শুভ উদ্বোধনের মাধ্যমে কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্পেসএক্স-এর সর্বাধুনিক রকেট ফ্যালকন-৯ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নিয়ে কক্ষপথের উদ্দেশে যাত্রা করে। এ সময়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল। এ সময় প্রতিমন্ত্রী ‘বিবিসি বাংলা’কে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্যাটেলাইটটি সাফল্যজনকভাবে উৎক্ষেপিত হয়েছে এবং গাজীপুরে নির্মিত গ্রাউন্ডে সিগন্যালও পাঠিয়েছে । এই উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করল।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ এর সুবিধা
বাংলাদেশ সরকার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের বিষয়টিকে জাতীয় গৌরব ও মর্যাদার অংশ হিসেবে দেখছেন। শুধু তাই নয়, এ প্রকল্প থেকে আর্থিক সাফল্যের বিষয়কেও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন। প্রযুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েকটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সাফল্যজনক ফলাফল লাভে সক্ষম হবে। প্রথমত রূপকল্প-২০২১ বা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলেন বাংলাদেশকে। তাছাড়া দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা বিস্তৃত হবে অকল্পনীয় দ্রুততায়। যারা ভি-স্যাট ব্যবহার করে তথ্য আদান-প্রদান করছেন তাদেরও কাজে লাগবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। দেশের টিভি চ্যানেলগুলোর সম্প্রচারের জন্য এবং ডিটিএইচ সেবা অর্থাৎ বর্তমানে ক্যাবল টিভির যে সংযোগ রয়েছে তার মান উন্নয়ন হবে।
সবচেয়ে বেশি সুবিধা হবে ক্যাবল টিভির ক্ষেত্রে। অর্থাৎ ডিশ, ইন্টারনেট ও কলিং এ ৩টি সেবা একসঙ্গে ডিটিএইচ-এর মাধ্যমে পাওয়া যাবে। পাশাপাশি টেলিমেডিসিন, ই-গবেষণা, ই-লার্নিং, ই-বিজনেস, ভিডিও কনফারেন্সিসহ তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি ঘটবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তির সেবা ও সুবিধা ছড়িয়ে দেওয়া সহজ হবে। পেশাদারিত্বের সঙ্গে পরিচালনা করতে পারলে ৬/৭ বছরের মধ্যেই সরকারের বিনিয়োগ উঠে এসেও লাভের মুখ দেখা সম্ভব। তাছাড়া সার্কভুক্ত দেশগুলোর পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, মিয়ানমার, তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং কাজাকিস্তানও এ স্যাটেলাইটের ব্যবহারিক সুযোগ নিতে পারবে।
উপসংহার
আমাদের প্রজন্মের বাংলাদেশের জন্য বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সত্যিকার অর্থেই সময়ের সর্বশ্রেষ্ঠ সংযুক্তি। বিশ্বের স্যাটেলাইট ক্লাবে বাংলাদেশ যখন প্রবেশ করেছে তখন থেকেই শুরু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বৈপ্লবিক ও উন্নয়ন-অগ্রগতির এবং প্রগতির নবজোয়ার। মহাকাশ জয়ের পথে আমরা। একদিন বিশ্ব এসে যাবে আমাদের হাতের মুঠোয়, সেদিন আর বেশি দূরে নয়।
অন্যান্য রচনা:
স্বপ্নের পদ্মা সেতু রচনা (আপডেটেড তথ্যসহ)
জগদীশ চন্দ্র বসু বিজ্ঞানী রচনা (৫০০ শব্দ)
বাংলাদেশের উৎসব রচনা (১১০০ শব্দ) | SSC | HSC
1 comment
[…] […]
Comments are closed.