অনলাইন ইনকাম শব্দটি এখন বেশ পরিচিত একটি শব্দ। আপনার আশেপাশে হয়তো অনেককেই দেখবেন যারা প্রতিনিয়ত এই শব্দটি ইউজ করছে। বা অনেককেই হয়তো দেখবেন যারা অনলাইন থেকে ইনকাম করে এখন বেশ স্বচ্ছল জীবন-যাপন করছেন। অনেকে আবার করেছেন বাড়ি-গাড়িও। আসলেই কি এগুলো সম্ভব? বা আদৌ কি অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়? বা অনলাইন থেকে ইনকাম করা গেলে তা কোন কোন সেক্টর থেকে করা যায়? ইত্যাদি প্রশ্ন হয়তো উঁকি দিচ্ছে আপনাদের মাথায়। তাই আজকের আর্টিকেলে এসমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেয়ার পাশাপাশি সম্পূর্ণ নিজের অভিজ্ঞতা থেকে শেয়ার করবো অনলাইন ইনকামের সেরা ১০ টি উপায় বা প্লাটফর্মের কথা। যেখানে কাজ করে একজন মানুষ বদলে নিতে পারেন নিজের ভাগ্যকে, হয়ে উঠতে পারেন আর্থিকভাবে স্বচ্ছল।
অনলাইন ইনকাম কি?
সহজ কথায় অনলাইন ইনকাম বলতে নেটওয়ার্ক ইউজ করে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের (কম্পিউটার, মোবাই, ট্যাব ইত্যাদি) মাধ্যমে ভার্চুয়ালি ইনকাম করাকে অনলাইন ইনকাম বলে। এটি শুধু একটি সেক্টর নয়। এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে হাজারো সেক্টর। তাই অনলাইন ইনকাম করতে চাইলে আগে আমাদের ঠিক করে নিতে হবে আমরা কোন সেক্টর বা প্লাটফর্ম থেক ইনকাম করবো। যারা এটা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্ধে ভুগে থাকেন, তাদের জন্য আমার পরামর্শ হলো, যে বিষয়ের উপর আপনার প্রচন্ড আগ্রহ, যে কাজটা করে আপনি আনন্দ পান, সে কাজটিই আপনি বেছে নেবেন। অন্যথায় আপনি হতাশ হয়ে ঝরে পড়বেন কোনো একদিন।
চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জীবন বদলে দেওয়া সেরা ১০ টি অনলাইন ইনকাম উপায় সম্পর্কে জেনে নিই – যা কেউ আপনাকে শেয়ার করবে না।
১. ব্লগিং করে আয়
অনলাইন ইনকামের সেরা উপায় হিসাবে আমি ব্লগিংকেই ১ নাম্বারে রাখবো। কারণ এটি প্যাসিভ ইনকামও। এবং আমি নিজেও ব্লগিং করে ইনকাম করি।
এখন আবার ব্লগিং কি তা জানতে হবে। মূলত অনলাইনে লেখালখি করাকে ব্লগিং বলা হয়। আবার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখালেখি করাটা ব্লগিং না। ব্লগিং করার জন্য আপনার একটা ওয়েবসাইট থাকতে হবে। এবং সেই ওয়েবসাইটে যদি আপনি প্রতিনিয়ত লেখা পাবলিশ করেন তবে সেটাকে ব্লগিং বলা হবে। যেমন- আপনি আমার এই লেখাটি পড়ছেন আমার ওয়েবসাইট “গুরুগৃহ” এর মাধ্যমে। এখানে আমার প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখিটা হলো ব্লগিং।
এখন আসি ব্লগিং থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায়। ব্লগিং থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায় তা এই ছোট্ট আর্টিকেল দিয়ে বুঝানো সম্ভব না। তা বুঝাতে হলে কম করে হলেও ৫০ টা আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে এই ব্লগিং সম্পর্কে। যা পরবর্তীতে ধাপে ধাপে পাবলিশ করার চেষ্টা করবো। মূলত ব্লগিং করে ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করা হয় বিজ্ঞাপন দিয়ে। আর এই বিজ্ঞাপন পাওয়া যায় বিভিন্ন সোর্স থেকে। গুগল এডসেন্স হলো এরকম বিজ্ঞাপনের সমৃদ্ধ একটি ভান্ডার। আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটটি গুগল এডসেন্স-এ এপ্রুভ করে নিতে পারেন তবে বিজ্ঞাপনের জন্য আপনাকে আর চিন্তা করতে হবে না। তখন যত বেশি লেখা আপানার ওয়েবসাইটে থাকবে, তত বেশি আপনি হ্যান্ডসাম একটা এমাউন্ট ইনকাম করতে পারবেন। গুগল এডসেন্স বাদেও আরও বিভিন্ন বিজ্ঞাপনদাতা সাইট আছে, সেগুলো পরে অন্য একটি আর্টিকেলে আলোচনা করবো।
২. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম
অনলাইন ইনকামের সেরা ১০ টি প্লাটফর্মে আমি ২ নাম্বারে রেখেছি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংকে। এটিও একটি প্যাসিভ ইনকাম। প্যাসিভ ইনকাম বলতে আপনি একবার কাজ করবেন, আর সেই কাজ দিয়ে অনেকবার ফসল তুলবেন। এবং আপনি তখন কাজে না থাকলেও পূর্বে করা কাজ থেকে ইনকাম হতে পারে, হয়তো তখন আপনি ঘুমুচ্ছেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি তা সহজ কথায় বলতে গেলে অনলাইনে কোনো কোম্পানির পণ্য প্রচারের মাধ্যমে সেল করে কমিশন আর্ন করে নেওয়াকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। আর অনলাইনে মার্কেটিং করাটাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে। অর্থাৎ আপনি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে পণ্য প্রচার করে সেল করে তা থেকে কমিশন আর্ন করে নেওয়াটাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। এটি অনলাইন ইনকামের একটি খুব জনপ্রিয় প্লাটফর্ম।
বিশ্বের বড় বড় সব কোম্পানি (অ্যামাজন) থেকে শুরু করে ছোট সব কোম্পানি তাদের পণ্য প্রচারের জন্য অ্যাফিলিয়েট সুযোগটা দিয়ে থাকে। আর আপনি বিশ্বাসই করতে পারবেন না অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কি পরিমাণ ইনকাম করা যায়! আপনি এটা করতে পারবেন ব্লগিংয়ের মাধ্যমেও। অর্থাৎ ওয়েবসাইটে রিভিউ আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে। আবার অনেকে রিভিউ ভিডিও তৈরি করেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকে।
৩. ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে ইনকাম
অতি পরিচিত এই উপায়টি সম্পর্কে সবারই কম-বেশি জ্ঞান থাকলেও গভীর জ্ঞান কারোরই নেই। বড় বড় ইউটিউবাররা কি পরিমাণ যে ইনকাম করে থাকে তা আপনার-আমার ধারণারও বাইরে। এটাও এক ধরনের প্যাসিভ ইনকাম।
ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে তিনভাবে ইনকাম করা যায়। প্রথমত, গুগল এডসেন্স থেকে এপ্রুভাল নিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে। এর জন্য আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিকে অবশ্যই ইউটিউব এডসেন্স পলিসি ফলো করতে হবে। দ্বিতীয়ত, স্পন্সর ভিডিও বানিয়ে। অর্থাৎ আপনার পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে কোনো কোম্পানি তার প্রচারের জন্য আপনাকে টাকা দেবে। আর আপনি সেই কোম্পানি সম্পর্কে একটা ভালো রিভিউ ভিডিও বানিয়ে প্রচার করবেন। তৃতীয়ত, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে। আপনি ইউটিউবে বিভিন্ন প্রোডাক্টের রিভিউ ভিডিও বানিয়ে সেখানে অ্যাফিলিয়েট লিংক বসিয়েও ইনকাম করতে পারবেন।
৪. ফেসবুক থেকে ইনকাম
সম্প্রতি ফেসবুক তার প্লাটফর্ম থেকে ইনকাম করার অপশন চালু করেছে এবং মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। মানুষ এখন ইউটিউব থেকে ফেসবুক ইনকামের দিকে বেশি ঝুঁকছে। কারণ, ফেসবুকে অডিয়েন্স পাওয়া খুব সহজ এবং শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে দ্রুত ভাইরাল করাও সম্ভব, যা ইউটিউবের ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। আর যত বেশি ভাইরাল তত বেশি ইনকাম। তাই এখন সবাই ফেসবুক পেজ বা প্রোফেশনাল প্রোফাইল তৈরি কর ফেসবুক থেকে ইনকাম করার চেষ্টা করছে।
ফেসবুকের নতুন নিয়ম অনুযায়ী আপনার ৫,০০০ এর উপর ফলোয়ার, সর্বনিম্ন ৫ টি ভিডিও এবং লাস্ট ৬০ দিনের মধ্যে ৬০,০০০ মিনিট ওয়াচটাইম থাকলেই আপনি ফেসবুক মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর ফেসবুক যদি মনে করে আপনি ফেসবুক মনিটাইজেশনের নীতিমালা মেনে কাজ করছেন, তাহলে আপনার মনিটাইজেশন অন করে দেবে। এরপর থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
৫. ইন্সটাগ্রাম থেকে ইনকাম
ফেসবুকের মতোই একটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম হলো ইন্সটাগ্রাম। এখানে মূলত শর্ট ভিডিও বেশি আপলোড করা হয়। বিশ্বের বড় বড় সব তারকারা ইন্সটাগ্রাম বেশি ইউজ করে থাকেন।
ইন্সটাগ্রাম থেকে মূলত ইনকাম করা হয় ইনফ্লুয়েন্স মার্কেটিং করে। অর্থাৎ আপনার যদি সর্বনিম্ন ১০,০০০ ফলোয়ার থাকে, তাহলে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি তাদের পণ্য প্রচারের জন্য আপনার সাথে চুক্তিবদ্ধ হবে, যা থেকে আপনি হিউজ পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়া ইন্সটাগ্রাম আইডি ব্যবহার করে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও ভালো একটা এমাউন্ট ইনকাম করতে পারবেন।
৬. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে ইনকাম
বর্তমানে ওয়েব ভেডেলপমেন্ট করেও প্রচুর ইনকাম করা যায়। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হলো ওয়েবসাইট তৈরির মতো কাজ। এই কাজ পারলে আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে জয়েন হয়ে কাজ করতে পারবেন। ইন্টারন্যাশনাল ক্লায়েন্টরা প্রতিদিনই হিউজ পরিমাণ ওয়েব ডেভলপিং কাজ দিয়ে থাকে। তবে এর জন্য আপনাকে কোডিং শিখতে হবে। প্রথমে HTML দিয়ে শুরু করতে পারেন। এরপর ধাপে ধাপে PHP, JavaScript শিখতে পারেন।
বাংলা ভাষায় ওয়েব ডেভলপিং শেখার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও অ্যাপস রয়েছে। এছাড়া অনেকেই এর উপর কোর্স তৈরি করে ফেলেছেন। তবে আপনি যদি ইংরেজিতে মোটামুটি দক্ষ হন, তবে ইংরেজিতে বিভিন্ন ভালো ভালো কোর্স করে তা থেকে শিখতে পারবেন।
৭. গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ইনকাম
বর্তমান সময়ে অনলাই, অফলাইন সবখানেই গ্রাফিক্স ডিজাইনের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। এবং দিন দিন এই চাহিদা যেন আরও বেড়েই চলেছে। কিন্তু এই সেক্টরে চাহিদার তুলনায় মানুষ কম। এজন্য এই সেক্টর থেকে হিউজ পরিমাণ ইনকাম করার সুযোগ এখনও রয়েছে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন বলতে সৃজনশীল অঙ্কনকে বুঝায়। অর্থাৎ যে যত বেশি নতুন কিছু সৃষ্টি করতে পারবে, ক্রিয়েটিভিটি দেখাতে পারবে, এই সেক্টরে সেই বেশি ভালো করবে। বিভিন্ন কোম্পানি তাদের ওয়েবসাইটের লোগো, বিজ্ঞাপনের ছবি, বই/ম্যাগাজিনের কভার, টেমপ্লেট ডিজাইন ইত্যাদি কাজের জন্য হ্যান্ডসাম অফারে গ্রাফিক্স ডিজাইনার খুঁজে থাকে।
এছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে ইনকাম করার জন্য অনেকগুলো সাইট রয়েছে। আপনি এই সাইটগুলোতে সাইন-আপ করে সুন্দর একটা প্রোফাইল তৈরি করে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজগুলোতে এপ্লাই করে কাজ পেতে পারবেন। এরকম কয়েকটি সাইট হলো- Fiverr, Envato Market, 99designs ইত্যাদি।
৮. এসইও করে ইনকাম
এসইও এর পূর্ণরূপ হলো “সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন”। অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিনে কোনো ওয়েবসাইট বা প্রোফাইল র্যাংক করিয়ে শুরু দিকে নিয়ে আসার প্রক্রিয়াকে বলা হয় এসইও। এর চাহিদা আগেও যেমন ছিল, বর্তমানে তার থেকে আরও বহুগুলে বেড়েছে। ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।
এসইও এর বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে। তাই এই সেক্টরে কাজেরও অভাব নেই। বিভিন্ন কোম্পানি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য সার্চ ইঞ্জিনের টপ রেজাল্টে থাকতে প্রতিনিয়ত এসইও এর কাজ দিয়ে থাকেন। এবং প্রায়ই এসইও এক্সপার্টদের তাদের কোম্পানিতে পার্মানেন্ট হিসেবে নিয়োগ করে থাকেন। তাই আপনি যদি একজন ভালো এসইও এক্সপার্ট হন, তবে অনলাইন সেক্টর থেকে প্রচুর টাকা উপার্জনের পাশাপাশি রিমোট জব করতে পারবেন বিদেশী কোম্পানিগুলোতে। এটি আপনি বাড়িতে বসেই করতে পারবেন। এবং মাস শেষে ভালো একটা এমাউন্ট ইনকাম করতে পারবেন।
৯. কন্টেন্ট রাইটিং করে ইনকাম
কন্টেন্ট রাইটিং বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং পেশাগুলোর মধ্যে খুব জনপ্রিয় একটি পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কেউ হয়তো ওয়েবসাইটে পাবলিশ করার জন্য ভালো কন্টেন্ট খুঁজছেন, কেউ হয়তো ভিডিও তৈরি করার জন্য স্ক্রিপ্ট খুঁজছেন, এরকম অনেক কাজই আপনি পাবেন। তাই আপনি যদি ভালো কন্টেন্ট লিখে থাকেন, তবে প্রতিদিনই হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
সাধারণত বাইয়াররা বলে দেন কোন টপিকের উপর কন্টেন্ট লিখতে হবে, কত ওয়ার্ডের এবং কি কি কীওয়ার্ড থাকতে হবে। আপনি জাস্ট সে অনুযায়ী একটা সুন্দর কন্টেন্ট লিখে দিবেন। আর এতে করেই আপনি ভালো একটা এমাউন্ট ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়া আপনি যদি ভালো কন্টেন্ট লিখতে পারেন, তবে নিজস্ব ওয়েবসাইটে লিখে অর্থাৎ ব্লগিং করেও ইনকাম করতে পারবেন।
১০. ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম
ঘরে বসে অনলাইন থেকে ইনকমা করার উপায় হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। অনেকে তো অনলাইন ইনকাম মানেই ফ্রিল্যান্সিংকে মনে করে থাকেন। তবে এটা ঠিক, অনলাইন ইনকামের অর্ধেক কাজই ফ্রিল্যান্সিং-এ অন্তর্ভুক্ত। শুধু কাজের ধরনের জন্যই এগুলো ভিন্ন হয়।
মনে করুন, আপনি একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইট থেকে বা অন্য কোনো মাধ্যম থেকে বাইয়ারের কাজ নিয়ে তা সম্পন্ন করার মাধ্যমে বাইয়ারের থেকে টাকা ইনকাম করছেন, তখন সেটাকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হবে। আর যখন একই কাজ আপনি নিজের জন্য করছেন, যেমন- নিজের ওয়েবসাইটের জন্য কন্টেন্ট লিখছেন তখন সেটাকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হবে না। কারণ, এই কাজটি করে আপনি সরাসরি কোনো বায়ারের থেকে টাকা পাচ্ছেন না। এটি পাচ্ছেন আপনি গুগল এডসেন্স বা অন্য কোনো সাইট থেকে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনি অনেক সাইটই পাবেন। তবে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে Freelancer, Upwork, Fiverr ইত্যাদি। কিন্তু এই সাইটগুলো জনপ্রিয় হওয়ায় নতুনদের জন্য কাজ পাওয়া খুব কঠিন। কারণ এখানে প্রতিটিা কাজের পেছনে কম্পিটিশন লেভেল খুব বেশি। তাই নতুনদের জন্য সহজে কাজ পাওয়ার তিনটি সাইট হতে পারে Leggit, Contra, Vetted ইত্যাদি।
শেষ কথা
এই আর্টিকেলে আমরা জীবন বদলে দেওয়া অনলাইন ইনকাম এর সেরা ১০টি উপায় বা প্লাটফর্ম সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এছাড়া আরও শত শত উপায় আছে অনলাইন থেকে ইনকাম করার। আমরা শুধুমাত্র টপ ১০ টি উপায় নিয়েই এই আর্টিকেলটি সাজিয়েছি। আর এর মাধ্যমে শুধুমাত্র বেসিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। বিস্তারিত আলোচনা করতে গেলে প্রতিটি প্লাটফর্মের বিষয়ে ধাপে ধাপে অনেক আর্টিকেল লিখতে হবে, যা পরবর্তীতে চেষ্টা করা হবে।
আমরা অনলাইন ইনকামের যেসব বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেছি, এগুলো এমন না যে আপনি আসলেন, সফল হলেন আর হাজার হাজার ডলার ইনকাম করলেন। এগুলো যথেষ্ট পরিশ্রম, ধৈর্য্যের বিষয়। আপনি যত বেশি পরিশ্রম করতে পারবেন এবং ধৈর্য্যশীল হয়ে কাজে লেগে থাকতে পারবেন, তত দ্রুত সফল হতে পারবেন। আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।