Home » বংশগতি কি বা কাকে বলে? বংশগতির সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ
বংশগতি কি, বংশগতি কাকে বলে, বংশগতির প্রকারভেদ,

বংশগতি কি বা কাকে বলে? বংশগতির সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ

by Susmi
0 comment

সাধারণভাবে বংশগতি বলতে সন্তান-সন্ততির মধ্যে জন্মসূত্রে পিতামাতা থেকে জৈবিক ও মানসিক প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত বৈশিষ্ট্য, ক্ষমতা ও প্রবণতাকে বুঝায়। অন্যভাবে বলা যায়, রক্তের সম্পর্কসূত্রে প্রাপ্ত জৈবিক ও মানসিক প্রকৃতি ও আকৃতিগত বৈশিষ্ট্য, যা বংশপরম্পরায় উত্তর পুরুষের মধ্যে সঞ্চালিত হয় তাকে বংশগতি বলা হয়। বংশগতির উপাদান হলো ক্রোমোজোম, (Chromosome), জিন (Gene), ডিএনএ (DNA), আরএনএ (RNA)।

বংশগতির সংজ্ঞা

বংশগতি একটি জটিল জৈবিক ও মানসিক প্রক্রিয়া। বিভিন্ন লেখক বিভিন্নভাবে বংশগতিকে সংজ্ঞায়িত করেছেন। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা নিম্নে উপস্থাপন করা হলো:

সমাজকর্ম অভিধানের সংজ্ঞানুযায়ী, “বংশগতি হলো পিতামাতা থেকে সন্তানের মধ্যে জিন বহনকারী ক্রোমোজোমের মাধ্যমে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য স্থানান্তর।”

Woodworth & Marquis তাঁদের ‘Psychology’ গ্রন্থে বংশগতির সংজ্ঞায় বলেছেন, “Heredity covers all the factory that were present in the individual when he began life.” অর্থাৎ, জীবনের প্রারম্ভে মানুষের মধ্যে যেসব উপাদান বর্তমান থাকে তাই তার বংশগতি।

পিকুনাস (Pikunas) এর মতে, “The totality of physiological influences biologically transmitted from parents (and ancestors) to the offspring at conception.” অর্থাৎ, বংশগতি হচ্ছে শারীরতত্ত্বীয় প্রভাবের সামগ্রিকতা, যা গর্ভধারণের সময় পিতামাতা ও পূর্বপুরুষদের মাধ্যমে শিশুর মধ্যে প্রেরিত বা সঞ্চারিত হয়।

আরও পড়ুন

জলবায়ু পরিবর্তন কি? জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ ও প্রভাব আলোচনা কর

বংশগতি থেকে প্রাপ্ত দৈহিক ও মানসিক বৈশিষ্ট্যের বর্ণনায় H. S. Jenning & Etal বলেছেন, “সাধারণত যেসব বৈশিষ্ট্য বংশগত সূত্রে পিতামাতা থেকে সন্তানের মধ্যে উত্তররাধিকার সূত্রে বর্তিয়ে থাকে তা হলো লিঙ্গ (স্ত্রী-পুরুষ) চোখ এবং চুলের রং, গায়ের রং থাকে তা হলো লিঙ্গ (স্ত্রী-পুরুষ), চোখ ও চুলের রং, গায়ের রং, চুলের ধরন এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে তার বণ্টন, আঙুলের ছাপ, হাত-পায়ের গড়ন ও ধরন, দেহের গড়ন, রক্তের রাসায়নিক গঠন প্রকৃতি, রক্তের শ্রেণি, জ্ঞান ও পারদর্শিতা, মস্তিষ্কের পারদর্শিতা, রোগ-ব্যাধি, রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা ইত্যাদি।”

অধ্যাপক বিদ্যাভূষণ ও সচদেব বংশগতি প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘The biological and psychological characteristics which are transmitted by the parents to their offsprings are known by the name of heredity. Heredity is in other words, a biological process of transmission of certain traits of behaviour of parents to their children, by means of the fertilized agg.”

বংশগতির প্রকারভেদ

মনোবিজ্ঞানিগণ বংশগতিকে দু’ভাগে ভাগ করেছেন। এগুলো হলো-

ক. জৈবিক বংশগতি এবং

খ. মানসিক বংশগতি।

শিশু তার পূর্বপুরুষের নিকট দৈহিক দিক থেকে কোন বৈশিষ্ট্য লাভ করলে তাকে জৈবিক বংশগতি বলে। অন্যদিকে, শিশু জন্মসূত্রে কোন মানসিক বৈশিষ্ট্য, ক্ষমতা ও প্রবণতা লাভ করলে তাকে মানসিক বংশগতি বলে।

সুতরাং বলা যায়, শিশু জন্মগতভাবে দৈহিক ও মানসিক দিক থেকে পূর্বপুরুষের যেসব বৈশিষ্ট্য লাভ করে থাকে তাকে বংশগতি বলা হয়।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

বংশগতির বিষয়ে আপনার মনে উঁকি দেয়া আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর চলুন জেনে নিই-

বংশগতির ধারক ও বাহক কোনটি?

DNA

জীবের বংশগতির বাহক কোনটি?

ক্রোমোজোম।

বংশগতির একক কি?

বংশগতির একক হলো জিন।

Related Posts