Home » সাইকোসিস ও নিউরোসিসের পার্থক্য গুলো কি কি?
সাইকোসিস ও নিউরোসিসের পার্থক্য,

সাইকোসিস ও নিউরোসিসের পার্থক্য গুলো কি কি?

by Susmi
0 comment

সাইকোসিস ও নিউরোসিসের পার্থক্য

সাইকোসিস ও নিউরোসিস উভয়েই মানসিক রোগ। তবে নিউরোসিস মৃদু এবং সাইকোসিস কঠিন মানসিক ব্যাধি। নিউরোসিস রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন না হলেও সাইকোসিসে আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। নিম্নে সাইকোসিস ও নিউরোসিস রোগের পার্থক্য বা বৈসাদৃশ্য আলোচনা করা হলো।

নিউরোসিস/স্নায়ুরোগ

সাইকোসিস/মনোবিকার

১. নিউরোসিস রোগীর আচরণ সমাজের জন্য ক্ষতিকর নয়। ১. সাইকোসিস রোগীর আচরণ সমাজের জন্য ক্ষতিকর।
২. নিউরোসিস রোগীর ব্যক্তিত্বের অবনতি কম হয়। ২. মনোবিকার রোগীর ক্ষেত্রে ব্যক্তিত্বের বেশি অবনতি ঘটে।
৩. এসব রোগীর অন্তর্দৃষ্টি কিছুটা হলেও থাকে।

 

৩. সাইকোসিসে আক্রান্তরা বাস্তবের সাথে সংযোগ হারিয়ে ফেলে।
৪. স্নায়ুরোগীদের চিন্তা ও অনুভূতির ক্ষেত্রে মারাত্মক কোন অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায় না। ৪. মনোবিকারগ্রস্তদের ও অনুভূতির ক্ষেত্রে গুরুতর অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হয়।
৫. এ ধরনের রোগীদের মধ্যে ভ্রান্ত বিশ্বাস ও অলীক প্রত্যক্ষণ থাকে না। ৫. রোগীদের মধ্যে ভ্রান্ত বিশ্বাস ও অলীক প্রত্যক্ষণ বেশি পরিমাণে থাকে।
৬. রোগী তার কষ্ট ও যন্ত্রণা নিরবে সহ্য করতে পারে। ৬. রোগী তার কষ্ট ও যন্ত্রণা সহ্য করতে পারে না পরিবারের সদস্যদের জন্যও এটি পীড়াদায়ক।
৭. স্নায়ুরোগি গ্রস্তরা পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য বিধান করে চলতে পারে। ৭. মনোবিকার গ্রস্তরা পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য বিধান করে চলতে পারে না।
৮. এ ধরনের রোগীরা তাদের আচরণ সম্পর্কে সামান্য হলেও বুঝতে পারে। ৮. রোগীরা তাদের আচরণ সম্পর্কে মোটেও বুঝতে পারে না।
৯. নিউরোসিস আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হয় না। ৯. মনোবিকারে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করা বাধ্যতামূলক।
১০. এসব রোগের চিকিৎসা জটিল নয় বিধায় বাড়িতে রেখেই এদের চিকিৎসা চালানো যায়। ১০. এসব রোগীর চিকিৎসা জটিল বিধায় বাড়িতে এদের চিকিৎসা করা যায় না।
১১. নিউরোসিস রোগীরা সচেতনভাবে প্রতীকের ব্যবহার করতে পারে। ১১. সাইকোসিস রোগীরা সচেতনভাবে প্রতীকের ব্যবহার করতে পারে না। তারা অবচেতন বা বিজ্ঞানের প্রতীক ব্যবহার করে।
১২. সাধারণত স্থান, কাল, পাত্রভেদে রোগীদের জ্ঞান থাকে। ১২. রোগীদের স্থান, কাল, পাত্রভেদে জ্ঞান থাকে না।
১৩. রোগীরা নিজেদের বা অন্যদের জন্য বিপজ্জনক হয়। ১৩. রোগীরা নিজের বা অন্যের জন্য বিপজ্জনক হয় না।
১৪. শুধুমাত্র মনোচিকিৎসায় ভালো ফল পাওয়া যায়। ১৪. শুধু মনোচিকিৎসায় ভালো ফল পাওয়া যায় না।
১৫. মাত্রাগত দিক থেকে এ ধরনের মানসিক রোগ মৃদু হয়। ১৫. মাত্রাগত দিক থেকে এ ধরনের মানসিক রোগ তীব্র হয়।

সাইকোসিস ও নিউরোসিসের মধ্যে উপর্যুক্ত পার্থক্যগুলো লক্ষ্য করা যায়। এসব লক্ষণ থেকে উভয়ের বৈসাদৃশ্য সম্পর্কে স্পষ্ট হওয়া যায়। তবে উভয় রোগের মধ্যে আবার যথেষ্ট সম্পর্কও বিদ্যমান রয়েছে।

সাইকোসিস কেন হয় বা সাইকোসিস রোগের কারণ সমূহ কি কি?

Related Posts