নতুন পণ্যের মূল্য নির্ধারণ কৌশল
বিভিন্ন দেশে বাজারের হাল হকিকত ও গ্রাহকদের বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রকারের মূল্য নির্ধারণ কৌশল অনুসরণ করা হয়। নিম্নে নতুন পণ্যের মূল্য নির্ধারণ কৌশল গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
১. মার্কেট-স্কিমিং কৌশল (Market Skimming Strategy)
পণ্যের ভিত্তি-মূল্য (base price) নির্ধারণের একটি জনপ্রিয় নীতি হলো মূল্য-স্কিমিং। পণ্যের জীবনচক্রের প্রাথমিক পর্যায়ে চাহিদা অনমনীয় থাকে। এ পর্যায়ে পণ্যের জন্য সম্ভাব্য সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করা হয়। ফলে যাদের পণ্যটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় শুধু তারাই এটি কিনতে পারে। সাধারণত উচ্চবিত্তদের জন্য তৈরি পণ্যের ক্ষেত্রে এরপ মলানীতি অনসরণ করা হয়। অন্যান্য পণ্যের বেলায়ও এরূপ হতে পারে যদি সংশ্লিষ্ট পণ্য অত্যাবশ্যকীয় হয় কিন্তু বাজারে প্রতিযোগিতা কম থাকে।
মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতিগুলো আলোচনা কর |
পণ্যের জীবনচক্রের প্রাথমিক পর্যায়ে মুনাফা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মূল্য-স্কিমিং-এর আশ্রয় গ্রহণ করা হয়। মূলা-স্কিমিং নীতিতে সময়ের বিবর্তনের সাথে সাথে ধীরে ধীরে বাজারের গতিবিধির সাথে সংগতি রেখে পণ্যের মূল্য কমানোর প্রক্রিয়া চলতে থাকে। বিশ্ববিখ্যাত ‘পোলারয়েড’ কোম্পানি ‘তাৎক্ষণিক ছবি’ তোলার ক্যামেরা বাজারে ছাড়ার সময় অত্যন্ত উচ্চ মূল্য নির্ধারণ করেছিল কিন্তু ধীরে ধীরে বছরের পর বছর ধরে এই কোম্পানি ক্যামেরার মূল্য কমাতে থাকে। কোডাক ডিস্ক ক্যামেরার ক্ষেত্রেও একই নীতি গ্রহণ করা হয়েছিল।
২. প্রবিষ্ট মূল্য কৌশল (Penetration Pricing Strategy)
প্রাথমিক পর্যায়ে বেশি বড় আকারে বাজার দখলের মাধ্যমে পণ্যের বিক্রির পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য প্রবিষ্ট মূল্যনীতি অনুসরণ করা হয়। তাড়াতাড়ি বাজারে প্রতিষ্ঠা লাভের জন্য অনেক বিপণনকারী পণ্যের প্রথম পর্যায়ে কম মূল্যে পণ্য বাজারে প্রবর্তন করে। যখন বিপণনকারিরা দেখে যে, পণ্যের মূল্য বেশি রাখা হলে প্রতিযোগিরা সহজেই বাজারে ঢুকে পড়তে পারে তখন তারা সম্ভাব্য কম-মূল্য সহকারে বাজারে পণ্য ছাড়ে। এতে প্রতিযোগিরা নিরুৎসাহিত হয় এবং পণ্যের বিক্রিও বৃদ্ধি পায়। তবে মূল্য অত্যধিক কম হলে কোয়ালিটির ব্যাপারে গ্রাহকরা সন্দিহান হয়ে উঠতে পারে।
মূল্য নির্ধারণের উদ্দেশ্য গুলো কি কি? – ব্যাখ্যা কর |