আমার মা অনুচ্ছেদ রচনা অথবা অনুচ্ছেদ আমার মা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? সামনে আপনার পরীক্ষা? খুব সুন্দর প্রিপারেশন নিতে চাচ্ছেন? নোট করার সময় পাচ্ছেন না? তাহলে চিন্তার আর কারণ নেই। ‘গুরুগৃহ’ ব্লগ সবসময় ছাত্র/ছাত্রীদের কথা ভেবে গুরুত্বপূর্ণ নোটগুলো সংগ্রহ করে অনলাইনে আপলোড করে থাকে। আপনার যা কিছু প্রয়োজন সব পাবেন এই ব্লগে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আপলোড করা হলো আমার মা অনুচ্ছেদ।
ফেরিওয়ালা অনুচ্ছেদ | বাংলা অনুচ্ছেদ ফেরিওয়ালা |
আমার মা অনুচ্ছেদ
‘মা’ শব্দটি বড়ই মধুর। শব্দটি সংক্ষিপ্ত হলেও এর গুরুত্ব অত্যধিক। হাদীসে আছে, “মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।” অন্যান্য ধর্মগ্রন্থেও মায়ের সম্মানের কথা বলা হয়েছে। আমার মায়ের নাম রাহেলা খাতুন। তিনি গ্রামের একজন সাধারণ মহিলা। সাধারণ হলেও আমার কাছে তিনি অসাধারণ। আমি বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তিনি দোআ- কালাম পড়ে আমার মাথায় ফুঁ দেন এবং আমি ফিরে আসার আগ পর্যন্ত তিনি আমার পথপানে চেয়ে থাকেন। আমি বাড়ি ফিরে না আসা পর্যন্ত তিনি খাবার স্পর্শ করেন না। আমিও বাইরে কোথাও গেলে খেতে পারিনা। মায়ের হাতে না খেলে আমার পেট ভরে না। মা আমাকে আদর করে মানিক ডাকেন। যখনই তিনি মানিক বলে ডাক দেন আমার মন খুশিতে ভরে- ` যায়। একবার আমি খেলতে গিয়ে পায়ে ব্যথা পেয়েছি। মায়ের কী কান্না। রাত জেগে আমার সেবা-যত্ন। আমি মাকে বলেছি তেমন কিছু হয়নি তুমি ঘুমাও। মা বললেন, “আমার ঘুম আসবেনা, তুই ঘুমো।” যখন একা থাকি তখন ভাবি, “ঈশ্বর মায়ের মনটি এতো কোমল করে সৃষ্টি করেছেন কেন।” পৃথিবীর সব কিছু নিঃশেষ হলেও মায়ের ভালবাসা মহাসমুদ্রের পানিরাশির মতো কখনো নিঃশেষ হবে না। মায়ের কাছে সব কিছুর ওপর তার সন্তান। যত দুঃখ যত কষ্টই হোক না কেন, সন্তানের মুখ দেখে নিমেষেই মা সব কিছু ভুলে যান। আমার মা, আমার ভালবাসা আমার পৃথিবী।
ফেরিওয়ালা অনুচ্ছেদ | বাংলা অনুচ্ছেদ ফেরিওয়ালা |
তো কেমন লেগেছে আমার মা অনুচ্ছেদ? আশাকরি ভালোই লেগেছে। এরকম আরও নানা অনুচ্ছেদ পেতে ব্লগটির সাথেই থাকুন।