245
পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ের পার্থক্য
উৎপাদকের নিকট থেকে অধিক পরিমাণে পণ্য ক্রয় করে খুচরা ব্যবসায়ীদের নিকট অল্প পরিমাণে বিক্রয় করার কাজকে পাইকারি ব্যবসায় বলে। অপরদিকে সরাসরি ভোক্তাদের নিকট বিক্রয় করার কাজই হলো খুচরা ব্যবসায়। পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ের মধ্যে যেসব পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় নিচে তা বর্ণিত হলো-
পার্থক্যের শিরোনাম | পাইকারি ব্যবসায় | খুচরা ব্যবসায় |
১। ব্যবসায়ের প্রকৃতি | পাইকারি ব্যবসায় তুলনামূলকভাবে একটি বড় কারবারি প্রতিষ্ঠান। | খুচরা ব্যবসায়ীরা তুলনামূলকভাবে ক্ষুদ্র কারবারি প্রতিষ্ঠান। |
২। ক্রয়-বিক্রয়ের পরিমাণ | পাইকারি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে অনেক বেশি পরিমাণ পণ্যসামগ্রী গ্রাহকদের নিকট বিক্রয় করা হয়। | খুচরা ব্যবসায়ীরা অল্প পরিমাণে পণ্যসামগ্রী ক্রয় করে। |
৩। ধার্যকৃত পণ্য মূল্য | এক্ষেত্রে পণ্যের মূল্য অপেক্ষাকৃত কম ধার্য করা হয়। | অপরদিকে খুচরা ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সাধারণত পণ্যের ধার্যকৃত মূল্য অধিক হয়। |
৪। ক্রেতার প্রকারভেদ | পাইকাররা তাদের পণ্য এমন সব ব্যক্তি বা সংস্থার নিকট বিক্রয় করে যারা উক্ত পণ্য ভোগ করে না। | পক্ষান্তরে সরাসরি ভোক্তাই হচ্ছে খুচরা ব্যবসায়ীর ক্রেতা। |
৫। ক্রয়ের উৎস | পাইকাররা উৎপাদক বা আমদানিকারকের নিকট থেকে পণ্য ক্রয় করে। | পক্ষান্তরে খুচরা ব্যবসায়ীর পণ্য ক্রয়ের প্রধান উৎস হলো পাইকারা। |
৬। মূলধন | পাইকারি ব্যবসায়ের জন্য প্রচুর মূলধনের দরকার হয়। | খুচরা ব্যবসায়ী কম পরিমাণ মূলধন নিয়ে ব্যবসায় চালাতে পারে। |
৭। ঝুঁকি | পাইকারি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে অধিক পরিমাণে পণ্য ক্রয় করে গুদামজাত করে রাখতে হয়। ফলে ঝুঁকির পরিমাণ বেশি হয়। | অপরদিকে খুচরা ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো ঝুঁকি নেই। |
৮। মূল্যে স্থিতিশীলতা | পাইকারি ব্যবসায় পণ্যের সরবরাহ সম্প্রসারণ বা সংকোচনের মাধ্যমে পণ্যের মূল্যে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারে। | পক্ষান্তরে খুচরা ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে এরূপ করার কোনো সুযোগ নেই। |
৯। ব্যবসায়ের বিস্তৃতি | পাইকারি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পণ্য সরবরাহ করায় ব্যবসায়ের বিস্তৃতি ঘটে। | অপরপক্ষে খুচরা ব্যবসায় স্থানীয় এলাকায় সীমাবদ্ধ থাকে। |
১০। পণ্যের বৈচিত্র্য | পাইকারি ব্যবসায় সীমিত ধরনের পণ্য নিয়ে ব্যবসায় করে। | খুচরা ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ধরনের পণ্যের বেচাকেনা করে। |
১১। মধ্যস্থব্যবসায়ের প্রকৃতি | পাইকার উৎপাদক ও খুচরা ব্যবসায়ীর মধ্যে মধ্যস্থব্যবসায়ী হিসেবে কাজ করে। | অন্যদিকে খুচরা ব্যবসায়ী পাইকার ও ভোক্তার মধ্যে মধ্যস্থব্যবসায়ী হিসেবে কাজ করে। |
১২। পণ্য সংরক্ষণ | পাইকাররা গুদামে কিংবা সংরক্ষণাগারে পণ্য সংরক্ষণ করে থাকে। | খুচরা ব্যবসায়ীরা নিজস্ব দোকানেই পণ্য সংরক্ষণ করে থাকে। |
১৩। সম্পর্কের প্রকৃতি | উৎপাদক ও আমদানিকারকের সাথে পাইকারদের সম্পর্ক। | অপরদিকে খুচরা ব্যবসায়ীদের সাথে সরকারি ভোক্তার সম্পর্ক। |
১৪। প্রচার | পাইকাররা পণ্যের চাহিদা সৃষ্টির জন্য প্রচারের ব্যবস্থা কর্ | কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের জন্য প্রচারের আশ্রয় নেয় না। |
১৫। কর্মসংস্থান | এরূপ ব্যবসায়ের সংখ্যা সীমিত হওয়ায় এক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ কম। | পক্ষান্তরে ব্যাপক ও বিস্তৃত এলাকায় এরূপ ব্যবসায় গড়ে ওঠায় কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি। |
খুচরা ব্যবসায় কি? খুচরা ব্যবসায়ের শ্রেণিবিভাগ কর। |
খুচরা ব্যবসায়ের কার্যাবলী আলোচনা কর |