Home » ই-কমার্স কত প্রকার ও কি কি?
ই-কমার্স কত প্রকার ও কি কি,

ই-কমার্স কত প্রকার ও কি কি?

by Susmi
0 comment

প্রিয় পাঠক, আজ আমরা জানবো ই-কমার্স কত প্রকার ও কি কি? আশাকরি, আপনারা যা জানতে এসেছেন তার সবটাই জানতে পারবেন এই ব্লগ থেকে।

ই-কমার্স কত প্রকার?

নতুন এ সহস্রাব্দে শিল্পের চালিকা শক্তি হচ্ছে ই-কমার্স। ইন্টারনেট, ইন্ট্রানেট ও এক্সট্রানেট ব্যবহার করে ই-কমার্স চালিত হয় বলে ব্যবসায় কার্যক্রমে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে। যে কারণে গতানুগতিক ব্যবসায় থেকে ই-কমার্স স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। লেনদেনের প্রকৃতির ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের ই-কমার্স দেখতে পাওয়া যায়। লেনদেনের এরূপ ভিন্ন প্রকৃতির ভিত্তিতে ই-কমার্সকে নিম্নোক্তভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

১। ব্যবসায় থেকে ভোক্তা (Business to Consumer- B2C);

২। ব্যবসায় থেকে ব্যবসায় (Business to Buxiness-B2B);

৩। ভোক্তা থেকে ভোক্তা (Consumer to consumer- C2C);

৪। ভোক্তা থেকে ব্যবসায় (Consumers to Business-C208):

অনলাইন মার্কেটিং বলতে কি বুঝায়? অনলাইন মার্কেটিং এর সুবিধা আলোচনা কর

১. ব্যবসায় থেকে ভোক্তা ই-কমার্স (B2C)

ব্যবসায় থেকে ভোক্তা ই-কমার্স B2C নামে বহুল পরিচিত। ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে ভোক্তাদের নিকট পণ্য ও সেবা সরাসরি বিক্রয় করাই হলো B2C ই-কমার্স। ১৯৯২ সালে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ব্যবসায় কার্যক্রম শুরু হয় এবং তখন থেকেই B2C ই-কমার্সের উৎপত্তি। এরপর থেকে প্রতিনিয়ত এর বিস্তার ঘটছে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে।

২. ব্যবসায় থেকে ব্যবসায় ই-কর্মাস (B2B)

প্রচলিত ব্যবসায় পদ্ধতিতে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর মধ্যে পাইকারি বেচা-কেনার অনুরূপ হলো ব্যবসায় থেকে ব্যবসায় ই-কর্মাস। B2B ই-কমার্সে ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে পণ্য ও সেবার লেনদেন বা ক্রয় বিক্রয় হয়ে থাকে। B215 ই-কমার্সে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই ব্যবসায়ী। এ জাতীয় ই-কমার্সের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইলেক্ট্রনিক মার্কেট তৈরি এবং ইন্টারনেট প্রযুক্তির মাধ্যমে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সাথে সরাসরি সংযোগ রক্ষা করে। যার ফলে বিক্রেতা যেমন তার পণ্য সম্পর্কে ব্যবসায়ী ক্রেতাকে অবহিত করতে পারে তেমনি ব্যবসায়ী ক্রেতাও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তার প্রয়োজনীয় পণ্য বা সেবার সন্ধান পেয়ে থাকে।

৩. ভোক্তা থেকে ভোক্তা ই-কমার্স (C2C)

ই-কমার্স হলো ই-কমার্সের সেই রূপ যেখানে ভোক্তারা (ব্যবসায়ী সহ) পরস্পরের মধ্যে পণ্য ও সেবা ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে। ভোক্তার ইলেক্ট্রনিক প্রক্রিয়ায় ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন প্রদান করে থাকে। এভাবে ভোক্তাদের মধ্যে ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থাকে ভোক্তা থেকে ভোক্তা E-Commerce নামে অভিহিত করা হয়। ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন, ওয়েব পোর্টাল বা ব্যক্তিগত ওয়েব সাইট ব্যবহার না করেও ভোক্তার অকসন ওয়েবসাইট ব্যবহার করে তাদের পণ্য ও সেবা অন্যদের নিকট বিক্রয় করতে পারে। আবার প্রয়োজন অনুযায়ী ক্রয় করতে পারে। আমেরিকার বৃহৎ অকসন ওয়েব সাইট (e-Bay) ভোক্তাদেরকে অকসনের মাধ্যমে পণ্য ও সেবা ক্রয় বিক্রয়ের সুযোগ দিয়ে থাকে।

৪. ভোক্তা থেকে ব্যবসায় ই-কমার্স (C2B)

ভোক্তারা যখন ব্যবসায়ীদেরকে ব্যবসায়িক অফার প্রদান করে এবং ব্যবসায়ীরা তা গ্রহণের মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করে তখন তাকে ভোক্তা থেকে ব্যবসায় ই-কমার্স বলে। সাধারণত সংগঠিত ভোক্তা সাধারণ নির্দিষ্ট মূল্যে ও শর্তে পণ্য বা সেবা সুবিধা গ্রহণের জন্য বিক্রেতাদের উপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে। যেমন- কোনো একটি কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা ওয়েবসাইটে শিক্ষা সফরে যাওয়ার জন্য পরিবহন কোম্পানিগুলোকে নির্দিষ্ট পরিবহন ভাড়া অফার করতে পারে। পরিবহন কোম্পানিগুলোর মধ্যে কেউ ঐ ভাড়ায় যেতে সম্মত হলে এই অফার গ্রহণ করতে পারে। এরূপ সংঘটিত ইলেক্ট্রনিক ব্যবসায় পদ্ধতিকে ভোক্তা থেকে ব্যবসায়-কমার্স (C2B) বলে।

শেষকথা

ই-কমার্স কত প্রকার ও কি কি জেনে বেশ উপকৃত হয়েছেন। সংক্ষেপে বলতে গেলে ই-কমার্স ৪ প্রকার। যেমন- B2C, B2B, C2C, C2B।

একজন আদর্শ বিক্রয় কর্মীর গুণাবলী কি কি – আলোচনা কর

Related Posts