কর্মমুখী শিক্ষা অনুচ্ছেদ রচনা অথবা অনুচ্ছেদ কর্মমুখী শিক্ষা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? সামনে আপনার পরীক্ষা? খুব সুন্দর প্রিপারেশন নিতে চাচ্ছেন? নোট করার সময় পাচ্ছেন না? তাহলে চিন্তার আর কারণ নেই। ‘গুরুগৃহ’ ব্লগ সবসময় ছাত্র/ছাত্রীদের কথা ভেবে গুরুত্বপূর্ণ নোটগুলো সংগ্রহ করে অনলাইনে আপলোড করে থাকে। আপনার যা কিছু প্রয়োজন সব পাবেন এই ব্লগে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আপলোড করা হলো কর্মমুখী শিক্ষা অনুচ্ছেদ।
ইন্টারনেট অনুচ্ছেদ রচনা class 10 | বাংলা অনুচ্ছেদ ইন্টারনেট |
কর্মমুখী শিক্ষা অনুচ্ছেদ
যে শিক্ষাব্যবস্থায় মানুষ কোনো একটি বিষয়ে হাতে-কলমে শিক্ষা লাভ করে জীবিকা অর্জনের যোগ্যতা অর্জন করে, তা-ই কর্মমুখী বা বৃত্তিমূলক শিক্ষা। সমৃদ্ধ, সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দ্যময় ভবিষৎ গড়ার জন্য সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি প্রয়োজন কর্মমুখী শিক্ষা। বৃত্তিমূলক বা কর্মমুখী শিক্ষার অর্থ হচ্ছে, একজন ব্যক্তিকে বিশেষ বৃত্তি বা কর্মে প্রশিক্ষিত করে তোলা। সে শিক্ষা হবে আত্মপ্রতিষ্ঠায় সহায়ক। কর্মমুখী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা বহুবিধ। এ শিক্ষা গ্রহণের পর একজন শিক্ষার্থীকে কাজের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। এ শিক্ষা বেকারত্বের অভিশাপ থেকে দেশকে মুক্ত করে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও দারিদ্র্য বিমোচনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। কর্মমুখী শিক্ষায় প্রশিক্ষিত দক্ষ জনশক্তিকে বিদেশ পাঠিয়ে আমরা প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি। এসব কারণেই কর্মমুখী শিক্ষার বিস্তৃতি আরও ব্যাপক হওয়া প্রয়োজন। এ উদ্দেশ্যে সরকারি ও বেসরকারি প্রচেষ্টায় অধিক পরিমাণ কর্মমুখী শিক্ষা প্রদানের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা প্রয়োজন। বিশেষ করে কৃষিকার্য সহায়ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। বর্তমান যুগে বৃত্তিমূলক শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে এ শিক্ষাই দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি বয়ে আনতে পারে। শিক্ষার উদ্দেশ্য শুধু মানসিক বিকাশ নয়, এটি জীবিকা অর্জনেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কর্মমুখী শিক্ষা আমাদের কাজের নিশ্চয়তা দেয়। অতএব কর্মমুখী শিক্ষার বিস্তার ঘটিয়ে সমৃদ্ধ জীবন গঠন সম্ভব হতে পারে।
একুশে বইমেলা অনুচ্ছেদ class 7 | অনুচ্ছেদ একুশে বইমেলা |
তো কেমন লেগেছে কর্মমুখী শিক্ষা অনুচ্ছেদ? আশাকরি ভালোই লেগেছে। এরকম আরও নানা অনুচ্ছেদ পেতে ব্লগটির সাথেই থাকুন।