জলবায়ু পরিবর্তন অনুচ্ছেদ রচনা অথবা অনুচ্ছেদ জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? সামনে আপনার পরীক্ষা? খুব সুন্দর প্রিপারেশন নিতে চাচ্ছেন? নোট করার সময় পাচ্ছেন না? তাহলে চিন্তার আর কারণ নেই। ‘গুরুগৃহ’ ব্লগ সবসময় ছাত্র/ছাত্রীদের কথা ভেবে গুরুত্বপূর্ণ নোটগুলো সংগ্রহ করে অনলাইনে আপলোড করে থাকে। আপনার যা কিছু প্রয়োজন সব পাবেন এই ব্লগে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আপলোড করা হলো জলবায়ু পরিবর্তন অনুচ্ছেদ।
কর্মমুখী শিক্ষা অনুচ্ছেদ | বাংলা অনুচ্ছেদ কর্মমুখী শিক্ষা |
জলবায়ু পরিবর্তন অনুচ্ছেদ
তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটায় বিশ্বের প্রতিটি দেশে বিশেষ করে বাংলাদেশে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরা ইত্যাদির মাত্রা আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিপর্যয়ের ফলে মানুষের জীবন আজ হুমকির সম্মুখীন। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, বৃক্ষনিধন, শিল্প-কারখানা স্থাপন, দূষণ ও নগরায়ণের ফলে আবহাওয়ায় একটি দীর্ঘস্থায়ী বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। এটিই জলবায়ু পরিবর্তন। তবে বৈশ্বিক উষ্ণায়নই জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ। গত ১০০ বছরে পৃথিবী পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা প্রায় ১° সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, গত দশ বছরে যেসব ঝড়, বন্যা ও দাবানলের সৃষ্টি হয়েছে তা এ বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রত্যক্ষ ফল। অথচ পরিবেশের ওপর মানুষের নির্ভরশীলতা বেড়েই চলেছে। একদিকে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস নির্গমন ক্রমাগত বাড়ছে, অন্যদিকে ‘উন্নয়ন’-এর নামে প্রতিনিয়ত বনাঞ্চল উজাড় হচ্ছে। ফলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আরও বেশি পরিমাণে কার্বন ডাই-অক্সাইড, মিথেন, ক্লোরোফ্লোরো কার্বনসহ আরও কিছু মারাত্মক ক্ষতিকর গ্যাস মজুদ হয়ে গ্রিন হাউস প্রভাব সৃষ্টি করছে। এসব গ্যাসের প্রভাবে বায়ুমণ্ডলের বাইরের দিকে যে ওজোন গ্যাসের আবরণ আছে, তা ক্রমেই ক্ষয় হচ্ছে। এ কারণে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির আগমন আগের মতো আটকানো যাচ্ছে না। ফলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বাড়ছে। এরকম অবস্থা চলতে থাকলে জলোচ্ছ্বাসের প্রকোপ বাড়বে, সমুদ্রের পানিতে প্লাবিত হতে থাকবে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। তবে আশার কথা হলো জলবায়ু পরিবর্তন ইতোমধ্যে বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এ কারণে ১৯৭২ সালে স্টকহোমে প্রথম জাতিসংঘ পরিবেশবিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে আমাদের করণীয় বিষয়ে একাধিক ‘ধরিত্রী সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে ইউএনএফসিসি-র সদস্য-দেশসমূহের অংশগ্রহণে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ২১তম জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে বহুল কাঙ্ক্ষিত জলবায়ু চুক্তি বিষয়ে একমত হয়েছেন বিশ্ব নেতারা। সর্বশেষ ২০২১ সালে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জাতিসংঘের আয়োজনে কপ-২৬ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে দেশগুলো তাদের লক্ষ্যমাত্রার কথা ঘোষণা করে। এক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০৫০ সালের মধ্যে, চীন ২০৬০ সালের মধ্যে এবং ভারত ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার ঘোষণা করে। বাংলাদেশের একদিকে মরুকরণ অন্যদিকে বন্যা, সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস প্রভৃতির জন্যে জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী। তাই বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক মহলের যেমন নজর দেওয়া উচিত, তেমনিভাবে আমাদেরও উচিত নানামুখী পদক্ষেপ নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের করালগ্রাস থেকে মুক্তির উপায় বের করা।
ইন্টারনেট অনুচ্ছেদ রচনা class 10 | বাংলা অনুচ্ছেদ ইন্টারনেট |
তো কেমন লেগেছে জলবায়ু পরিবর্তন অনুচ্ছেদ? আশাকরি ভালোই লেগেছে। এরকম আরও নানা অনুচ্ছেদ পেতে ব্লগটির সাথেই থাকুন।