জাতীয় ফুল শাপলা অনুচ্ছেদ রচনা অথবা অনুচ্ছেদ জাতীয় ফুল শাপলা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? সামনে আপনার পরীক্ষা? খুব সুন্দর প্রিপারেশন নিতে চাচ্ছেন? নোট করার সময় পাচ্ছেন না? তাহলে চিন্তার আর কারণ নেই। ‘গুরুগৃহ’ ব্লগ সবসময় ছাত্র/ছাত্রীদের কথা ভেবে গুরুত্বপূর্ণ নোটগুলো সংগ্রহ করে অনলাইনে আপলোড করে থাকে। আপনার যা কিছু প্রয়োজন সব পাবেন এই ব্লগে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আপলোড করা হলো জাতীয় ফুল শাপলা অনুচ্ছেদ।
আমার মা অনুচ্ছেদ ১ম শ্রেণি, ২য় শ্রেণি | অনুচ্ছেদ আমার মা
জাতীয় ফুল শাপলা অনুচ্ছেদ
ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক। শুধু তাই নয় এটি আনন্দেরও উৎস। কিছু কিছু ফুল জলে জন্মে। তার মধ্যে একটি ফুল হল শাপলা এটি আমাদের জাতীয় ফুল। গ্রাম বা শহরের পুকুর, দিঘি, জলা, খাল-বিল, প্রভৃতি স্থানে শাপলা ফুল দেখা যায়। এ ফুলটি যখন সম্পূর্ণ ফোটে, তখন দেখতে খুবই চমৎকার লাগে। ফুলটির বোঁটা সংলগ্ন পাঁপড়ির নিচের অংশ সবুজ; অন্যান্য পাঁপড়িগুলো সাদা। একটি লম্বা ডাটার ওপর ফুলটির জন্ম। ডাটার গায়ে অনেকগুলো সবুজ পাতা (যা দেখতে প্রায়ই পান পাতার মতো) পানিতে ভাসতে দেখা যায়। যখন অনেকগুলো শাপলা ফুল পানিতে ভাসতে দেখা যায় তখন খুবই চমৎকার লাগে। অনেকে বাণিজ্যিকভাবে শাপলার চাষ করে।
কঁচি কঁচি ছেলে-মেয়েরা শাপলার ডগা খেতে পছন্দ করে। শাপলার ডগা তরকারী হিসেবেও খাওয়া যায়। জাতীয় ফুল হিসেবে এটি টাকা, মুদ্রা, স্ট্যাম্প, ডাকটিকেটসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। তাই এই প্রতীকটি বাংলার সর্বস্তরের জনগণের নিকট পরিচিত। তবে আমাদের জাতীয় ফুলটি যে হারে কমতে শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকলে হয়তো কোনদিন এটি হারিয়ে যেতে পারে। তাই আমাদের উচিত এটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা। সরকারের পাশাপাশি এ কাজে জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। গ্রামের খাল-বিল, নদী-নালা, পুকুর-ডোবা- দিঘিতে এ ফুলটি চাষ করার জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করা উচিত। এটি যতই চাষ হবে ততই আমাদের জন্য মঙ্গল। এ ফুলটি আবাদ করা তেমন কষ্টকর নয়। এর উৎপাদনে তেমন টাকা-পয়সা খরচ হয় না। আসুন, আমরা সবাই আমাদের জাতীয় ফুল শাপলা রক্ষা করি।
জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদ | বাংলা অনুচ্ছেদ জাতীয় পতাকা |
তো কেমন লেগেছে জাতীয় ফুল শাপলা অনুচ্ছেদ? আশাকরি ভালোই লেগেছে। এরকম আরও নানা অনুচ্ছেদ পেতে ব্লগটির সাথেই থাকুন।