ফেরিওয়ালা অনুচ্ছেদ রচনা অথবা অনুচ্ছেদ ফেরিওয়ালা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? সামনে আপনার পরীক্ষা? খুব সুন্দর প্রিপারেশন নিতে চাচ্ছেন? নোট করার সময় পাচ্ছেন না? তাহলে চিন্তার আর কারণ নেই। ‘গুরুগৃহ’ ব্লগ সবসময় ছাত্র/ছাত্রীদের কথা ভেবে গুরুত্বপূর্ণ নোটগুলো সংগ্রহ করে অনলাইনে আপলোড করে থাকে। আপনার যা কিছু প্রয়োজন সব পাবেন এই ব্লগে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আপলোড করা হলো ফেরিওয়ালা অনুচ্ছেদ।
ফলের রাজা আম অনুচ্ছেদ | বাংলা অনুচ্ছেদ ফলের রাজা আম |
ফেরিওয়ালা অনুচ্ছেদ
গ্রামে-গঞ্জে যে লোকটি পায়ে হেঁটে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রি করে তাকে ফেরিওয়ালা বলে। ফেরিওয়ালা বিভিন্ন ধরনের শব্দ করে, বাঁশি বাজিয়ে লোকজন জড়ো করে এবং তার মালামাল বিক্রি করে। কাপড় চোপড়, আইসক্রিম, খেলনা, প্লাস্টিকের সামগ্রী, সিলভারের সামগ্রী, মুদির জিনিস-পত্রসহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় দ্রব্য-সামগ্রী ফেরিওয়ালা বিক্রি করে। তার নিকট জিনিসপত্র সস্তায় পাওয়া যায় বিধায় গ্রাম্য বধূ ও ছেলে- মেয়েরা তার নিকট ভিড় করে। অনেক দরাদরি ও কথা কাটাকাটির পর সে তার জিনিস বিক্রি করে। চুলের ফিতা থেকে শুরু করে থালা-বাসন সবই ফেরিওয়ালা ফেরি করে। এমন সব জিনিস যা হয়তো নিকটস্থ বাজারে পাওয়া যায় না, তা ফেরিওয়ালার নিকট পাওয়া যায়। তারা দূর-দূরান্ত থেকে জিনিস-পত্র নিয়ে আসে এবং গ্রামে-গঞ্জে বিক্রি করে। সকাল ৭/৮ টা থেকে সন্ধ্যা ৭/৮টা পর্যন্ত তারা তাদের জিনিস-পত্র বিক্রি করে। “থালা-বাটি- বাসন কোসন আছে, নিবেন, আইসক্রিম, মালাই আইসক্রিম” প্রভৃতি ডাক হেঁকে ফেরিওয়ালা লোকজনকে জানান দেয় তাদের উপস্থিতি। অনেক ক্ষেত্রে অদ্ভূত অদ্ভূত ডাক হেঁকে যায় তারা যা অনেকের বোধগম্য হয় না। গ্রামের ছোট্ট ছোট্ট ছেলে- মেয়েরা ফেরিওয়ালার ডাক শুনে ছুটে আসে; খরিদ করে নেয় তাদের কাঙ্খিত জিনিস। বৈচিত্রময় জীবনের অধিকারী ফেরিওয়ালাদের জীবন বড়ই কষ্টের। রৌদ্র-বৃষ্টি, শীত, গ্রীষ্ম সর্বদাই তাদের দেখা যায়। অক্লান্ত পরিশ্রম করে তারা।
মৃৎশিল্প অনুচ্ছেদ রচনা | শখের মৃৎশিল্প অনুচ্ছেদ |
তো কেমন লেগেছে ফেরিওয়ালা অনুচ্ছেদ? আশাকরি ভালোই লেগেছে। এরকম আরও নানা অনুচ্ছেদ পেতে ব্লগটির সাথেই থাকুন।