এনজাইম কি
প্রোটিনধর্মী যে দ্রবণীয় জৈব প্রভাবক সজীব কোষে উৎপন্ন হয়ে বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়াকে প্রভাবিত করে এবং বিক্রিয়া শেষে নিজে অপরিবর্তিত থাকে তাকে এনজাইম (Enzyme) বলে। অন্যভাবে বলা যায়, যে সকল পদার্থ কোন রাসায়নিক বিক্রিয়াকে ত্বরান্বিত বা মন্দীভূত করে এবং রাসায়নিক ক্রিয়ায় উৎপন্ন বস্তুকে প্রভাবিত করে না বা বিক্রিয়া শেষে নিজে অপরিবর্তিত থাকে তাকে এনজাইম বলে।
এনজাইম সজীব কোষ থেকে তৈরি এক ধরনের জৈব অনুঘটক (Biological Catalyst) যা কোষের বিভিন্ন বিপাকীয় ক্রিয়ার গতি নিয়ন্ত্রণ করে। সাধারণত বহিঃক্ষরা গ্রন্থিতে এনজাইম তৈরি হয়।
পিটুইটারি গ্রন্থির কাজ কি? |
যে এনজাইম কোষের ভিতরে থেকেই কাজ করে তাকে অন্তঃকোষীয় এনজাইম এবং সে এনজাইম কোষের মধ্যে উৎপন্ন হলেও বাইরে নির্গত হয়ে কাজে অংশ নেয়, তাকে বহিঃকোষীয় এনজাইম বলে। এনজাইম (Engyme) কে বাংলায় উৎসেচক বলা হয়।
এনজাইমের বৈশিষ্ট্য
এনজাইমের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নরূপ:
১. এনজাইম একটি প্রোটিনধর্মী রাসায়নিক পদার্থ।
২. এটি জৈব প্রভাবকের (Catalyst) ভূমিকা পালন করে।
৩. নির্দিষ্ট সাবস্ট্রেটের (Substrate) উপর সুনির্দিষ্ট বিক্রিয়া ঘটায়।
৪. এটি পানিতে দ্রবণীয় (কেবল লিপোপ্রোটিনযুক্ত, এনজাইম ব্যতীত)।
৫. ২০° সে.-৪০° সে. তাপমাত্রায় অধিক সক্রিয়, তবে অল্প তাপমাত্রায় বা উচ্চ তাপমাত্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে।।
৬. বৈষম্যভেদ্য পর্দার মধ্য দিয়ে ব্যাপিত হতে পারে না।
৭. নালীবিশিষ্ট গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয় এবং নালীপথে পরিচালিত হয়।
৮. উৎপত্তিস্থলের কাছাকাছি ক্রিয়াশীল হয়।
৯. কার্যপদ্ধতি দ্রুত এবং ফল তাৎক্ষণিক।
আশাকরি, এনজাইম কি ও এনজাইমের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
থাইরয়েড গ্রন্থির কাজ কি? |